রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪

মানিকের আরো সম্পত্তির খোঁজে ইডি! মহিষবাথানের অফিস থেকে উদ্ধার চাকরির একগুচ্ছ আবেদন পত্র

মৌসুমী

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২২, ০৩:০৫ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ১৫, ২০২২, ০৯:০৫ পিএম

মানিকের আরো সম্পত্তির খোঁজে ইডি! মহিষবাথানের অফিস থেকে উদ্ধার চাকরির একগুচ্ছ আবেদন পত্র
মানিকের আরো সম্পত্তির খোঁজে ইডি! মহিষবাথানের অফিস থেকে উদ্ধার চাকরির একগুচ্ছ আবেদন পত্র

মানিক ভট্টাচার্যের সম্পত্তির খোঁজে আরো ৬জায়গায় তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিন মহিষবাথানের পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের কাথর রোড, কৈখালী, ৩০২ এপিসি রোডের আইডিয়াল হাইটস, ডক্টর কার্তিক বোস স্ট্রিট এবং শ্রী গোপাল মল্লিক লেনে তল্লাশি চালায় ইডি।

এদিন মানিক ভট্টাচার্যের মহিষবাথানের অফিস থেকে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে চাকরির আবেদন পত্র উদ্ধার করেছে ইডি। একই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কয়েকটি হার্ডডিস্ক, বেশ কিছু ছবি এবং নিয়োগের নথি। এই যাবতীয় উদ্ধার হওয়া জিনিস প্রমাণ স্বরূপ সংগ্রহ করেছে ইডি।

ইডি সূত্রে খবর, বারাসাত স্টেডিয়াম এর কাছে মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের বাড়ি রয়েছে। তিনি একটি বিএড কলেজের মালিক। এদিন এই তাপস মণ্ডলের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখানেও বেশ কিছু প্রয়োজনীয় নথির খোঁজ মেলে।

অন্যদিকে তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, মানিক ভট্টাচার্যের মহিষবাথানের অফিসে আসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে কি নিয়ে আলোচনা চলত, বা এই বিষয়ে আরো কোন গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

এছাড়াও কলকাতার বাইরে একাধিক জেলাতেও নিয়োগ দুর্নীতির খোঁজ পেয়েছে ইডি। বীরভূমে গীতাঞ্জলি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এবং ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কলেজ অব এডুকেশন নামে দুটি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর খোঁজ মিলেছে। এখানেও বেশ কয়েকবার এসেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্য। এই ইনস্টিটিউট গুলো থেকেও দুর্নীতির মাধ্যমে কারা চাকরি পেয়েছেন বা যারা চাকরি পেয়েছেন তারা কিভাবে চাকরি পেয়েছেন এই সমস্ত বিষয়ে এখন খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।